Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

প্রশ্নোত্তর (কার্তিক ১৪২২)

আমিনুল ইসলাম
চট্টগ্রাম

প্রশ্ন : কোন কোন গাছে ক্ল্যাফট গ্রাফটিং করা যায়? গ্রাফটিং করার উপযুক্ত সময় কখন?
উত্তর : গাছের বংশবিস্তারের জন্য কলম তৈরির কৌশলকেই গ্রাফটিং বলা হয়। গ্রাফটিংয়ের উদ্দেশ্য হলো ফল গাছের উন্নত জাতে বংশবিস্তার। আম, কাঁঠাল, জাম, জলপাই, কামরাঙা এসব ফলগাছে সফলভাবে ক্ল্যাফট গ্রাফটিং করা যেতে পারে।
সারা বছরই ক্ল্যাফট গ্রাফটিং করা যায়। তবে বর্ষার শেষ দিকে অর্থাৎ শ্রাবণ-ভাদ্র মাসে এ ধরনের কলম করা ভালো। কেননা এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকে যা কলম জোড়া লাগার জন্য সহায়ক।

 

মো. দেলওয়ার হোসেন
নীলফামারী

প্রশ্ন : ধান গাছের খোল পোড়া রোগের প্রতিকার কী?
উত্তর : খোল পোড়া ধান গাছের একটি ছত্রাকজনিত  রোগ। এ রোগে খোল দেখতে কিছুটা গোখরা সাপের চামড়ার দাগের মতো দেখায়।
ইউরিয়া সার বেশি ব্যবহার করলে, আবহাওয়া গরম ও স্যাঁতসেঁতে হলে এবং রোগ জীবাণু জমিতে থাকলে রোগ ছড়ায়।

* রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন জাত ব্যবহার করা যথা-বিআর-১০, ২২, ২৩ এবং ব্রিধান ২৯, ৩২, ৩৯, ৪১।
* ফসল কাটার পর ক্ষেতের নাড়া পুড়িয়ে ফেলা।
* রোগ দেখা দিলে জমির পানি শুকিয়ে ৭-১০ দিন রাখার পর আবার সেচ দেয়া।
* সুষম মাত্রায় সার ব্যবহার করা এবং ইউরিয়া ২-৩ কিস্তিতে প্রয়োগ করা।
* পটাশ সার সমান দুই কিস্তিতে ভাগ করে এক ভাগ জমি তৈরির শেষ চাষে এবং অন্য ভাগ শেষ কিস্তি ইউরিয়া সার প্রয়োগের সঙ্গে মিশিয়ে প্রয়োগ  করা।
* প্রয়োজনে ছত্রাশনাশক ব্যবহার করা। নেটিভো, ফলিকুর, কনটাফ, হেক্সাকোনাজল খোলপোড়া রোগ দমনে কার্যকর ছত্রাকনাশক।

 

মো. মোস্তফা
কুমিল্লা

প্রশ্ন: কুমড়া পাতায় পানি ভেজা দাগের মতো ছোট ছোট ক্ষত হয়েছে। পরে আক্রান্ত পাতাগুলো শুকিয়ে যায়। কি করলে উপকার পাওয়া যাবে?
উত্তর : এটি কুমড়ার পাতার দাগ রোগ। এটি একটি ছত্রাকজনিত রোগ। প্রথমত, আক্রান্ত পাতা সংগ্রহ করে নষ্ট করতে হবে। রোগমুক্ত গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করা। রোগ দেখা দিলে কার্বেনডাজিম (ব্যাভিস্টিন) ১ গ্রাম বা মেনকোজেব (ডাইথেন এম-৪৫) ২.৫ গ্রাম  বা রিডোমিল গোল্ড ২ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।

 

আবুল কালাম আজাদ
গাইবান্ধা

প্রশ্ন : বরবটি গাছের চারা হঠাৎ করে নেতিয়ে পড়ে, পরে গাছ মারা যায়। কী করলে উপকার পাওয়া যাবে?
উত্তর : এটা বরবটির ছত্রাকজনিত রোগ। এ রোগ জমিতে দেখা দিলে আক্রান্ত গাছ নষ্ট বা পুড়িয়ে ফেলতে হবে।
০ বীজ বপনের আগে বীজ শোধন করা (প্রোভেক্স ২.৫ গ্রাম বা ব্যাভিস্টিন ২ গ্রাম/কেজি বীজ)।
০ চারা গজানোর পর অতিরিক্ত সেচ না দেয়া।
০ মাদার মাটি শোধন করা (ফরমালিন)।
০ মাদার ট্রাইকোডারমা ভিড়িডি (উপকারী পরজীবী) ৩০ গ্রাম ৫০০ গ্রাম গোবরের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করা।
০ এ রোগের আক্রমণ দেখা দিলে প্রতি লিটার  পানিতে ৪ গ্রাম কুপ্রাভিট বা ২ গ্রাম কমপ্যানিয়ন ব্যবহার করতে হবে।

 

নবাব
ময়মনসিংহ

প্রশ্ন : ইউরিয়া মোলাসেস ব্লক সম্পর্কে জানতে চাই।
উত্তর : আমাদের দেশের গবাদিপশু সাধারণত খড় খেয়ে জীবনধারণ করে। শুধু খড় থেকে প্রয়োজনীয় আমিষ, শর্করা ও খনিজ পাওয়া যায় না। ইউরিয়া মোলাসেস ব্লক বা ইউএমবি একটি শক্তিশালী এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ জমাট খাদ্য এর মধ্যে প্রয়োজনীয় খনিজ ও ভিটামিন থাকে। খড়ের সঙ্গে পরিপূরক খাদ্য হিসেবে ইউরিয়া মোলাসেস ব্লক খাওয়ালে ভালো ফল পাওয়া যায়। তাছাড়া বর্ষাকালে ও অন্যান্য দুর্যোগপূর্ণ সময়ে গোখাদ্যের সংকটে এটি মজুদ খাদ্য হিসেবে কাজ করে।

পদ্ধতি
১০ কেজি ব্লকের মধ্যে ৫-৬ কেজি মোলাসেস বা চিটাগুড়, ২.৫-২.৬ কেজি গমের ভুসি, ৮০-৯০ গ্রাম ইউরিয়া এবং ৫০০-৬০০ গ্রাম চুনা (খাবার চুন) দেয়া থাকে। ১ কেজির ১টি ব্লকে সাধারণত ৯ মেগাজুলস শক্তি ও ২৪০ গ্রাম প্রোটিন থাকে।
১. প্রথমে ৫-৬ কেজি চিটাগুড় একটি পাত্রে নিয়ে তাপ দিতে হবে। তাপাধারটি লোহার কড়াই বা ড্রামের অর্ধাংশ বা এ জাতীয় শক্ত পাত্র হলে ভালো হয়।
২. ২.৫-৩ কেজি গমের ভুসি মেপে নিতে হবে।
৩. এবার ৩৫ গ্রাম লবণ (ডিবি ভিটামিনসহ) মেপে নিন।
৪. ৮০-৯০ গ্রাম ইউরিয়া আলাদা মেপে নিন।
৫. ওজনকৃত চুনের গুঁড়া, ইউরিয়া ও লবণ ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
৬. এবার কড়াইটি তাপাধার থেকে নামিয়ে নিন এবং ভালোভাবে নাড়াচাড়া করুন যতক্ষণ না নালি বা চিটাগুড়ের আঠালো জমাট ভাব আসে।
৭. ৫ নম্বরে বর্ণিত মিশ্রণটি ফুটন্ত নালি বা চিটাগুড়ের সঙ্গে মিশিয়ে নিন এবং পরে ওজনকৃত গমের ভুসি ঢেলে দিন ও একটি শক্ত কাঠি বা হাতলের সাহায্যে নাড়াচাড়া করে ভুসি ও ৫ নম্বরে বর্ণিত মিশ্রণ সম্পূর্ণভাবে মিশিয়ে নিন।
৮. নালি ভুসি, চুনা, ইউরিয়া ও খনিজ দ্রব্য মিশ্রিত মিশ্রণ থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ (ছাঁচের আকার ও ধারণক্ষমতা অনুযায়ী) নিয়ে ব্লক তৈরি করুন।
৯. মিশ্রণটি ৮ নম্বরে বর্ণিত ছাঁচে ঢালার পরে    ছাঁচের মাপ অনুযায়ী ঢাকনা উপরে রেখে চাপ দিতে থাকুন যেন মিশ্রণটি শক্ত জমাট বাঁধা একটি ব্লকে পরিণত হয়।
১০. সাবধানতার সঙ্গে ব্লকটিকে ছাঁচ থেকে তুলে ৩০ মিনিট পর্যন্ত বাইরে রেখে দিলে ব্লকটি শক্ত হয়ে যায়।
১১. এক সঙ্গে অনেক ব্লক বানানোর প্রয়োজন হলে সদ্য প্রস্তুতকৃত ব্লকটি পলিথিনের মোড়কে আচ্ছাদিত করুন।
খাওয়ানোর নিয়ম
১. ইউএমবি একটি শক্তিশালী ও প্রোটিন সমৃদ্ধ জমাট খাদ্য যাতে প্রয়োজনীয় খনিজ ও ভিটামিন দেয়া আছে।
২. ব্লক খাওয়ালে গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়ার দৈহিক ওজন বৃদ্ধি, শক্তি ও দুগ্ধ উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।
৩. ব্লক খাওয়ালে খড়জাতীয় পশুখাদ্যের পাচ্যতা এবং গ্রহণক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ও ওই খাদ্যের পুষ্টিমান বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
৪. ইউরিয়া মোলাসেস ব্লকের ওপরে মোড়ানো পলিথিন সম্পূর্ণভাবে খুলে দেখুন। ব্লকটিকে ১টি শুকনো পাত্রে বা শুকনো কাঠের ছাঁচে রেখে গবাদিপশুকে খেতে দিন। ব্লকটিকে অক্ষত অবস্থায় খেতে দিতে হবে এবং গরু মহিষের বেলায় দৈনিক ৩০০ গ্রাম ও ছাগলের বা ভেড়ার ক্ষেত্রে ১০০ গ্রাম খেতে দিতে হবে। এই পরিমাণের বেশি দেয়া উচিত নয়। প্রথম প্রথম ব্লক খেতে না চাইলে ব্লকের ওপর লবণ বা ভুসি ছিটিয়ে দিন এবং প্রতিদিন যতœসহকারে খাওয়াতে অভ্যাস করুন। ব্লক খাওয়ানোর পাশাপাশি গবাদিপশুকে অন্যান্য স্বাভাবিক খাবার খেতে দিতে হবে। মনে রাখতে হবে ইউএমবি পানিতে গুলে বা গুঁড়া করে দেয়া যাবে না।
ছাঁচের মাপ
২ কেজি ওজনের ব্লক তৈরিতে ব্যবহৃত ছাঁচের মাপ দৈর্ঘ্য ৯ ইঞ্চি, প্রস্থ ৪.৫-৫ ইঞ্চি উচ্চতা ৪ ইঞ্চি।
বি:দ্র: ইউরিয়া মোলাসেস স্ট্র বা ইউরিয়া মোলাসেস ব্লক খাওয়ানোর ১ ঘণ্টা আগে বা পরে পশুকে কোনো পানি পান করতে দেয়া যাবে না।

 

প্রদীপ কুমার
দিনাজপুর

প্রশ্ন : পুকুরের পানিতে লাল সর সমস্যায় কী করব?
উত্তর : খড়ের রশি বানিয়ে কাপড় দিয়ে সর টেনে উঠিয়ে দিতে হবে। ৩-৫ দিন পর আবারও খড় দিয়ে টেনে একপাশে আনা সরের ওপর আধা কেজি ইউরিয়া ছিটিয়ে দিতে হবে। পুকুরে সিলভার কার্প, গ্রাস কার্প ছাড়তে হবে।

 

জাহিদ হাসান
রংপুর

প্রশ্ন : সিলভার কার্প ও কাতলা মাছের মাথা মোটা এবং লেজ চিকন হয়ে আসে, করণীয় কী?
উত্তর : পুকুরে পর্যাপ্ত খাদ্যের অভাব হলে এমন হয়। প্রাকৃতিক খাবার তৈরির জন্য গোবর-২০০ গ্রাম / শতক দিন, ইউরিয়া-৫ গ্রাম/শতক দিন, টিএসপি-৩ গ্রাম/ শতক দিন হারে ৭ দিনেরটা একবারে দেয়া হয়। পাশাপাশি প্রতিদিন সম্পূরক খাদ্য হিসেবে চালের কুঁড়া, খৈল, ভুসি, ভিটামিন ইত্যাদি একত্রে মিশ্রিত করে মাছের ওজনের ৫% হারে সকালে ও বিকালে নির্দিষ্ট হারে খাদ্য দিতে হবে।

 

বেলাল হোসেন
চট্টগ্রাম

প্রশ্ন : পুকুরে বুদবুদ ওঠে, গ্যাস হয়, কী করব?
উত্তর : এমোনিয়া, নাইট্রাইট, হাইড্রোজেন সালফাইড ইত্যাদি গ্যাসের কারণে বুদবুদ ওঠে। পুকুরের মাটিতে মাঝে মধ্যে হররা টানতে হয়, গাছের পাতা যাতে না পড়ে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। চাষকৃত পুকুরের জন্য পুকুর প্রস্তুতি এবং প্লাঙ্কটন বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে পোনা মজুদের আগে এবং চাষের প্রতি দুই মাস বিরতিতে পুকুরের পানির গভীরতার ওপর নির্ভর করে ০.৫০-১.০ কেজি হারে চুন প্রয়োগ করতে হবে।

 

কৃষিবিদ মোহাম্মদ মারুফ*
* সহকারী তথ্য অফিসার (শস্য উৎপাদন), কৃষি তথ্য সার্ভিস, খামারবাড়ি, ফার্মগেট, ঢাকা-১২১৫


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon